বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয় - বজ্রপাতে কিভাবে মৃত্যু হয়
বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয় তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন আরো জানতে পারবেন বজ্রপাতে কিভাবে মানুষের মৃত্যু হয় বজ্রপাত মূলত মেঘের মধ্য বা মেঘ পৃথিবীর মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জের ভারসাম্যহীনতার কারণে।
বজ্রপাত ঘটায় এটা মূলত ইলেকট্রিক যা ধর্ম ভেঙ্গে গিয়ে বৈদ্যুতিক বিশাল স্ফুলিঙ্গ বা আলো ঝলকানি সৃষ্টি করে এর নাম মূলত বজ্রপাত বলা হয়ে থাকে বজ্রপাত সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য নিচে দেওয়া হল।
ভূমিকা
আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয় বজ্রপাত থেকে কিভাবে মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে এবং বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় বজ্রপাত হলে শব্দ হয় কেন বজ্রপাত হলে কি করতে হবে এবং বজ্রপাতের কত ভোল্ট হয়ে থাকে বজ্রপাত কি এবং বজ্রপাতের কারণ কি এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন বজ্রপাত সম্পর্ক এ টু জেড তথ্য দিয়ে
এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হলে তাই আপনি যদি বজ্রপাত এবং বজ্রপাতের কারণ কি এই সকল তথ্য জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করার চেষ্টা করবেন তাহলে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন আরো জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়
বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় এবং সতর্কতা অবলম্বন করা প্রতিটা মানুষের জন্যই উত্তম কারণ বজ্রপাত এমন একটি বিপদজনক সংকেত যার মাধ্যমে মানুষ মারা যেতে পারে এর জন্য বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য কয়েকটি মাধ্যম আপনি অবলম্বন করতে পারেন যা বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে খোলা জায়গা এড়িয়ে চলুন
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে খোলা জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে এর কারণ হলো খোলা জায়গায় জলাশয় বা উঁচু গাছের নিচে এই সকল জায়গাগুলোতে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি দেখা যায় এবং এ সকল জায়গাতে বজ্রপাত বেশি হয়ে থাকে এর জন্য এই সকল খোলা জায়গাগুলো এড়িয়ে চলবেন এবং বাসা বাড়িতে বা কোন দোকানপাটে থাকলে ভিতরে থাকার চেষ্টা করবেন
এবং মাটি বা মেঝেতে কখনোই শুয়ে থাকবেন না এতে শরীরের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রভাবটি পড়তে পারে তাই এ সকল নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলবেন এবং বাড়ির ভেতরে থাকার চেষ্টা করবেন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্র গুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
বজ্রপাতের সময় করণীয় কি
বজ্রপাতের সময় আমাদের যা যা করণীয় তা হল কখনই উঁচু গাছের নিচে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটির আশেপাশে থাকা যাবে না গাড়ির ভিতরে থাকলে জানলা দরজা বন্ধ করে যত পারেন গাড়িটি অফ রেখে বসে থাকতে পারেন খোলা জায়গায় এড়িয়ে চলতে হবে মাটি বা নিয়ে যেতে শুয়ে থাকা যাবে না এবং ঘরের ভিতরে থাকার চেষ্টা করবেন
দরজা জানালা সব বন্ধ রাখবেন এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্র জাগতিক বন্ধ রাখার চেষ্টা করবেন কারণ কারেন্টের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক আগুন ধরে যেতে পারে বজ্রপাতের কারণে কারণ বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশিরভাগ কারেন্টের ফুল এবং বড় বড় গাছ ফেলায় পড়ার আশঙ্কা থাকে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে এ সকল নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয়
বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয় বজ্রপাত মূলত মেঘের মধ্যে অথবা মেঘ ও পৃথিবীর মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্যের ভারসাম্যহীনতার কারণে বজ্রপাত সৃষ্টি হয় যখন বাতাসের আন্তরিক ইনসুলেটর ধর্ম ভেঙ্গে গিয়ে বৈদ্যুতিক বিশাল ইস্ফুলিং বা আলো ঝলকানির সৃষ্টি হয় তখনই বজ্রপাতের প্রভাব পড়ে বজ্রপাত মূলত মেঘের মধ্যে জলীয় বাষ্প বরফের কণা
এই সকল উপাদান ঘর্ষণের ফলে হালকা উপরে উঠে যাওয়ায় ও এই মেঘ এবং বরফের কনা গুলো একত্রে হয়ে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয় এর থেকেই বজ্রপাতের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘর্ষণের কারণে মেঘে মেঘে ধর্ষণের কারণে বৈদ্যুতিক বাতির মত চিলিক মারে এবং বিকট আওয়াজ হয়।
বজ্রপাত হলে শব্দ হয় কেন
বজ্রপাতের সময় যে বিকট শব্দ হয় এই শব্দের মূল কারণ হলো যখন বজ্রপাতের কারণে বাতাস দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হয় এবং মেঘ মেঘে খ্রিস্টান খায় তখন বৈদ্যুতিক আধানের মিলন ঘটে এবং বজ্রপাত উৎপন্ন হয়। বাতাসের তাপমাত্রা মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেড়ে যাওয়ার কারণে বজ্রপাতের বিকট আওয়াজ হয়।
বজ্রপাত কী
বজ্রপাত হলো মেঘের মধ্য বা মেঘ পৃথিবীর মধ্যে বৈদ্যুতিক আধানের দ্রুত নিষ্করন করার পর আলো এবং শব্দের ঝলকানি তৈরি করে এটা মূলত মেঘের মধ্যে চার্জের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘটে থাকে মেঘ পৃথিবী এবং বৈদ্যুতির ঝলকানি যখন মেঘে প্রচুর পরিমাণে বৈদ্যুতিক চার্জ জমা হয় বরফ কণা এবং বাতাসের প্রবাহ একত্রিত হয়ে মেঘে মেঘে ধর্ষণ সৃষ্টি হয় এবং এর থেকেই বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
বজ্রপাত কত ভোল্ট
বজ্রপাত কত ভোল্টের হয়ে থাকে বজ্রপাত মূলত ৩০০মিলিয়ন ভোল্ট হয়ে থাকে যা প্রায় ৩০ লক্ষ ভোল্টের কাছাকাছি ৩০ হাজার এম্পিয়ার বৈদ্যুত উৎপন্ন করতে পারে একসাথেই তবে এটা ক্ষণস্থায়ী ঘটনা কারণ বজ্রপাত এক এক সময় একেক রকম অ্যাম্পিয়ার এবং ভোল্ট দিতে পারে তবে এর কারণে আপনার আশেপাশে বজ্রপাত হলেও বিপদজনক অতিরিক্ত ভোল্টেজ এর কারণে।
বজ্রপাতে কিভাবে মৃত্যু হয়
বজ্রপাতে কিভাবে মৃত্যু ঘটায় বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন সরাসরি আঘাতের কারনে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে মারা যায় ত্বকের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে এবং শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা হতে পারে কারণ বজ্রপাতের ভোল্টেজ অনেক বেশি প্রায় ৩০ লক্ষ ভোল্টের কাছাকাছি
এবং আরো অন্যান্য কারণ রয়েছে যেমন শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের আঘাত শারীরিক জটিলতা এই সকল কারণেও মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে এবং বজ্রপাতের কারণে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচার দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্য সমস্যা থাকতে পারে শ্রাবণ শক্তি কম চোখের ছানি পড়া ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি বজ্রপাত কিভাবে সৃষ্টি হয় বজ্রপাতে কিভাবে মৃত্যু হয় বজ্রপাত কি বজ্রপাতের কত ভোল্টেজ থাকে বজ্রপাত এর সময় করনীয় কি এক কথায় বলা যায় বজ্রপাত সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য নিয়ে আর্টিকেলটি তৈরি করা হলো তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করবো প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকি এবং যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url