কোন ভিটামিন কি কাজ করে - এবং ভিটামিনের উৎস

আজকে আমরা জানবো কোন ভিটামিন কি কাজ করে এবং ভিটামিনের উৎসসমূহ মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন থাকে এবং কিছু খাদ্যের মাধ্যমেও শরীরে ভিটামিন সংগ্রহ করে থাকে।

এমন কিছু ভিটামিন রয়েছে যা শরীরে না থাকলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা যায় তাই আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো বিভিন্ন রকমের ভিটামিন সম্পর্কে এবং ভিটামিনের কাজ কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

একটি মানুষের সুস্থ সবল থাকার জন্য যেমন তার মন-মানসিকতা ফ্রেশ থাকতে হয় তেমনভাবেই শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে ভিটামিনের কোন তুলনা নেই তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আজ আমরা জানবো কোন ভিটামিন কি কাজ করে এবং ভিটামিনের উৎসসমূহ মানুষের শরীরে কত ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায় এবং ভিটামিন কাকে বলে ও কত প্রকার এবং কি কি

সে সম্পর্কেও আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো তাই আপনি যদি ভিটামিন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে চান তাহলে আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকি বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।

মানুষের শরীরে অনেক রকমের ভিটামিন রয়েছে যা বেশিরভাগ জল দ্রবণীয় বা চর্বি জাতীয় ভিটামিন এর মধ্যে ১৩ টি ভিটামিন রয়েছে মানুষের শরীরে এর মধ্যে চারটি রয়েছে চর্বি জাতীয় ভিটামিন এবং আরো নয়টি রয়েছে জলে দ্রব নিয়ে ভিটামিন এবং আরো রয়েছে ভিটামিন বি ভিটামিন সি এই ধরনের প্রায় 13 টি ভিটামিন রয়েছে একটি মানুষের শরীরে।

প্রতিটা ভিটামিন এ রয়েছে অনেক গুণ যা সুস্থ তা বজায় রাখতে অনেক কার্যকরী একটি মাধ্যম যা প্রতিটি মানবদেহে শক্তি যোগাতেও সহায়তা করে থাকে কোন ভিটামিন কি কাজ করে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভিটামিন এ: ভিটামিন এ আমাদের অনেক উপকারে আসে যেমন দৃষ্টিশক্তি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক কার্যকরী একটি মাধ্যম

ভিটামিন বি: ভিটামিন বি এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন বি টু ভিটামিন বি ৩ এরকম প্রায় ভিটামিন বি ১২ পর্যন্ত আমাদের দেহে নানা রকমের উপকারে আসে যেমন শক্তি উৎপাদন করতে লোহিত রক্ত কণিকা গঠন স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে

ভিটামিন সি: এবং ভিটামিন সি এটা আমাদের দেহের নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন উৎপাদন এবং ক্ষতি নিরাময় একটি কার্যকরী মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা যায় ভিটামিন সি

ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি যা আমাদের দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে হারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে

ভিটামিন ই: ভিটামিন ই এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রতিটি মানব দেহের জন্য উপকারী এবং কোষ রক্ষা করতে সহায়তা করে

ভিটামিন কে: এবং সর্বশেষ ভিটামিন কে এটির রক্ত জমাট হওয়ার সমস্যা থাকলে তা দূর করতে সহায়তা করে বাধা ক্রিয়েট করে এবং হাড়ের বিপাক এর কাজ করতে সহায়তা করে।

এখানে কয়েকটি ভিটামিনের কার্যকারিতা উল্লেখ করা হলো প্রতিটি মানব দেহের জন্য এই কয়টি ভিটামিন অনেক মূল্যবান এবং কার্যকরী হিসেবে গণ্য করা যায় তাই প্রতিদিনের রুটিন হিসেবে এই ভিটামিন গুলো প্রতিটা মানবদেহে প্রবেশ করানোর চিন্তাভাবনা রাখতে হবে সুস্থ থাকতে হলে।

ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন তো দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিটি মানবদেহের সংরক্ষণ পদার্থ হিসেবে যে ভিটামিন কাজ করে তাকেই ভিটামিন বলে ভিটামিন কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয় একটি হলো জলের দ্রবণীয় এবং দ্বিতীয়টি হলো স্নেহ

জাতীয় পদার্থ এবং ভিটামিন কি কি ভিটামিন বিভিন্ন রকমের রয়েছে যেমন জলে দ্রবণীয় ভিটামিন গুলো হলো ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ও ভিটামিন সি এবং পদার্থের দ্রবণীয় ভিটামিন গুলো হল ভিটামিন এ ভিটামিন বি টামিন ডি এবং ভিটামিন কে ভিটামিন আরও বিভিন্ন রকমের রয়েছে যেমন

ভিটামিন বি ওয়ান থেকে ভিটামিন বি ১২ পর্যন্ত আর রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বিটামিন সি ভিটামিন ডি এরকম অনেক ভিটামিন রয়েছে ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন আরো তথ্য জানতে নিজে দেখুন।

ভিটামিনের উৎস ভিটামিনের বিভিন্ন রকমের উৎস রয়েছে এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ভিটামিন রয়েছে নিচে ভিটামিনের উৎস উল্লেখ করা হলো।

ভিটামিন এ: ভিটামিন এ এর উৎস হল মিষ্টি আলু শাক-সবজি ডিম এবং গাজর এ সকল সবজিতে ভিটামিন এ দ্রবণীয়

টামিন সি: ভিটামিন সি ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ৬০ রস ফলে বেরিফলে বেল মরিচ ইত্যাদি ইত্যাদি ফলগুলোর মধ্যে

ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি ভিটামিন ডি রয়েছে প্রচুর পরিমাণের জাতীয় পণ্য এবং সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

ভিটামিন ই: বাদাম বিভিন্ন ধরনের বীজ এবং শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা প্রতিটা মানব দেয়ার জন্য অত্যন্ত উপকার।

ভিটামিন কে: এবং ভিটামিন কে ভিটামিন কে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ব্রকলি ডিম সবুজ শাকসবজি এই সকল সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে

এখানে কয়েকটি ভিটামিনের উৎস উল্লেখ করা হলো যা প্রতিটা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকার নিয়ে আসে এই ভিটামিনের উৎসগুলো তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সঠিক মাত্রায় ভিটামিন শরীরে পৌঁছাতে চাইলে এই নিয়মগুলো মেনে চলবেন এবং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খাদ্যগুলো রাখার চেষ্টা করবেন।

ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ কি কি সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক যেমন ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ গুলো হল চোখের শুষ্ক ভাব সম্পূর্ণ অন্ধত্ব বা কর্নিয়ার মারা যেতে পারে ভিটামিন এর অভাবে দিনে সব চলে দেখতে পারবেন এবং রাতে ঝাপসা এরকম রাতকানা

সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং গর্ভবতীদের সমস্যা দেখা দিতে পারে ভিটামিন এ এর অভাবে গলা এবং বুকে ঘন ঘন সংক্রমণ হলে ভিটামিনএ এর অভাব বুঝতে পারবে সময় লেগে যাওয়া বা সমস্যা দেখালে এবং ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যাও দেখা দিতে পারে এখানে উল্লেখিত লক্ষণ গুলো দেখা দিলে মনে করবেন ভিটামিন এ এর ঘাটতি হয়েছে।

ভিটামিন বি এর অভাবজনিত লক্ষণ গুলো উপরে ইতি মধ্যে উল্লেখ করা আছে অভাবজনিত কারণে চ্যাপ্টারে তাও আরেকবার জেনে নিন ভিটামিন বি এর অপজনিত লক্ষণ গুলো কি কি যেমন ঠোঁট ফেটে যাওয়া শরীর দুর্বলতা হয়ে যাওয়া মুখের মধ্যে ক্ষত চুলকানি এবং আসার মত ত্বক বিরক্তি অত্যাধিক

শ্রান্তে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা পেট ফুলে থাকা এবং পেট কামড়ানো ভুলে যাওয়া বিভ্রান্তি হাত ও পায়ে ঝিনঝিনি এ সকল সমস্যা হলে বুঝে নিবেন ভিটামিন বি এর অভাব হয়েছে বা ঘাটতি হয়েছে তাই ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণ করতে হলে ভিটামিন বি খাদ্যগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ভিটামিন সি যেমন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকার রয়েছে তেমনি ভিটামিন সি এর অভাব হলে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে ভিটামিন সি এর অভাব হলে কিভাবে বুঝবেন বা ভিটামিন সি এর অভাবজনিত লক্ষণ গুলো কি চলুন জেনে নেওয়া যাক যেমন ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলে ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব হবে ত্বকের বিভিন্ন রোগ দেখা দিবে

এবং যেকোনো আঘাতে শরীরের রক্ত জমে গেলে বুঝতে পারবেন ভিটামিন সি এর অভাব হয়েছে এবং মারি ফুলে গেলে মারিতে ব্যথা হলে বুঝে নিবেন ভিটামিন সি এর অভাব হয়েছে এবং ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে হলে ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্যগুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে ভিটামিন সি এর অভাব জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে বললে অনেক বলা যাবে কারণ ভিটামিন সি প্রতিটা মানবদের জন্য এতটাই উপকারী যে এর কোন তুলনা নেই যেমন চুল দাঁত এবং ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি এটি এন্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ করে থাকে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে এছাড়াও সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা

এই রোগীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে এ ভিটামিন সে গুলো পাওয়া যায় মূলত কিছু খাদ্য তালিকায় যেমন শাকসবজি বিভিন্ন রকমের কাঁচা ফলে ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য উপরে উল্লেখ করা আছে এক নজর দেখে নিতে পারেন এবং ভিটামিন সি এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট অ্যাটাক এবং স্টকের সমস্যা থেকে বিরত রাখে।

ভিটামিন ১ থেকে ভিটামিন ১২ পর্যন্ত যতগুলো ভিটামিন রয়েছে এতে প্রচুর পরিমাণে শরীরে উপকারিতার দ্রব্য রয়েছে এই সকল ভিটামিন বি এর উপকারিতা গুলো হল যে কোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত রাখে চুল এবং ত্বকের উন্নতি ঘটায় হারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে

কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে ক্লান্ত ক্লান্তি ভাব দূর করতে সহায়তা করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করেন ভিটামিন বি যুক্ত খাদ্যগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন তাহলে এই সকল উপকার গুলো পাওয়া যাবে ভিটামিন বি যুক্ত খাদ্য উপরে উল্লেখ করা আছে দেখে নিতে পারেন।

প্রতিটা মানব দেহের জন্য ভিটামিন এর উপকারিতা অনেক রয়েছে যেমন ভিটামিন এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং চোখ সুস্থ রাখতে ভিটামিন এর অনেক উপকারিতা রয়েছে ত্বক দাঁত এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে পারে এবং শরীরে নানা রকমের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে

টিউমার ও ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে ভিটামিন এ তাই ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ করতে উপরে উল্লেখ করা আছে ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য সেই খাদ্যগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন তাহলে এখানে উল্লেখিত ভিটামিন এ এর উপকারিতা গুলো পাওয়া যাবে সেই খাদ্যের মাধ্যমে।

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কোন ভিটামিন কি কাজ করে এবং ভিটামিনের উৎস সমূহ আরো জেনেছি ভিটামিন এ এর উপকারিতা ভিটামিন বি এর উপকারিতা ভিটামিন সি এর উপকারিতা এবং ভিটামিন গুলোর অভাবজনিত লক্ষণ ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এ টু জেড তথ্য আমরা জেনেছি ভিটামিন সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ যদি আমাদের পোস্ট পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।