প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম - চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

আজকে আমরা জানবো প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে আরো জানবো চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রত্যয়ন পত্র লিখে জমা দেওয়ার নিয়ম।
প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম
এ টু জেড নিয়মগুলো আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো তাই অনেকে আছে প্রত্যায়ন পত্র লিখতে জানেন না তাদের জন্য অনেক মূল্যবান হতে চলেছে এই পোস্টটি তাই আমি সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য।

ভূমিকা

আজকে আমরা জানতে চলেছি প্রত্যয়নপত্র লেখার নিয়ম চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম বেসরকারি চাকরির প্রত্যয়নপত্র লেখার নিয়ম এবং প্রত্যয়ন পত্র ও প্রশংসা পত্রের মধ্যে পার্থক্য কি সেই সম্পর্কে আমরা জানবো এবং প্রত্যয়ন পত্র কি কি কাজে প্রয়োজন হয়ে থাকে সে সম্পর্কেও আমরা এই


পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবো তাই আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকে সো দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।

প্রত্যয়ন পত্র কি কাজে লাগে

প্রত্যয়নপত্র আসলে কি কি কাজে লাগে চলেন জেনে নেওয়া যাক যেমন ধরেন আপনি কিছু রপ্তানি করেছেন এবং আরেকজন আমদানি করবে সেই রপ্তানিকৃত মালগুলো যে আমদানি করবে সেই আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিষদের নিশ্চয়তা প্রদান করে আমদানিকারক ব্যাংক যে পত্র বা ইস্যু করে সেটাকেই মূলত প্রত্যয়ন পত্র বা এল সি বলে


এবং প্রত্যয়ন পত্র অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেমন অফিস আদালতে চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে এবং আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং স্কুল কলেজেও এর প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবার জানবো প্রথম পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম যখন যার কাছে যে দরকারে প্রত্যয়ন পত্র লিখবেন তার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে পেশ করতে হবে এবং শিলমোহর এবং স্বাক্ষর দিয়ে একটি প্রত্যয়ন পত্র সম্পন্ন করতে হবে এর জন্য আমাদের করণীয় যেগুলো শুরুতেই প্রত্যয়ন পত্র লিখতে লেখা থাকবে প্রত্যয়ন পত্র টি লিখতে চান তার নাম পিতার নাম এবং মাতার নাম ও ঠিকানা

উল্লেখ করতে হবে এরপরে কোন বিষয়ে প্রথম পত্রটি লিখতে চান সেই বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনা করতে হবে এবং প্রত্যয়ন পত্রটি যে পেশ করবে তার সিলমোহর নাম স্বাক্ষর এবং যদি কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি হয়ে থাকেন তবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর পেশ করতে হবে এভাবেই একটি প্রত্যয়ন পত্র সম্পন্ন করা সম্ভব এটাই প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম।

প্রত্যয়ন পত্রের মেয়াদ কতদিন

প্রত্যয়ন পত্রের যদি সত্যতা হয়ে থাকে তাহলে এর কোন মেয়াদ নেই একটি প্রত্যয়নপত্র যদি সত্যায়িতা এবং বৈধতার সাথে তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে তার কোন মেয়াদ শেষ হয় না।

প্রত্যয়ন পত্র বলতে কি বুঝায়

? প্রত্যয়ন পত্র বলতে এমন কিছু সনদপত্র কে বোঝায় যেমন কোন প্রতিষ্ঠান করতে কোন বিষয়ের লিখিত সার্টিফিকেট যেমন চারিত্রিক সনদ বিবাহ সনদ বেকারত্ব সনদ ইত্যাদি ইত্যাদি সনদপত্র গুলোকেই প্রত্যয়ন পত্র বলে উল্লেখিত করা যায় যার নির্ধারিত অফিস থেকেই সংগ্রহ করা হয়ে থাকে


এবং এছাড়াও কোন বিষয়ের লিখিত কোন দলিলকেও প্রত্যয়ন পত্র বলা হয়ে থাকে এছাড়াও কোন কিছু লিখিত প্রমাণ দিলে একজন থেকে আরেকজনের কাছে সেটা কেউ প্রত্যয়নপত্র বলা হয়ে থাকে এগুলোকেই মূলত প্রত্যয়ন পত্র বলে উল্লেখিত করা হয়ে থাকে।

চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

চাকরির প্রত্যয়নপত্র লেখার নিয়ম হল সর্বপ্রথম চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লিখে শুরু করতে হবে এর পরে তারিখ এর পরে প্রিয় কর্মীর নাম উল্লেখ করতে হবে এরপরে কিছু টাইপিং করতে হবে যেমন আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষামূলক সময়সীমা ফলাফল এ উত্তীর্ণ হয়েছেন এভাবে সম্বর্ধনা জনক কিছু টাইপিং করতে হবে

এরপরে লিখতে হবে আপনাকে আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই রকম ভাবে কিছু লিখে শুভেচ্ছান্তে সর্বশেষে নিয়োগকর্তার নাম পদবী প্রতিষ্ঠানের নাম এগুলো উল্লেখ করে একটি চাকরির প্রত্যয়ন পত্র সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এটাই মূলত চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম বলে গণ্য করা যায়।

প্রত্যয়ন পত্র ও প্রশংসা পত্র কি এক

প্রত্যয়ন পত্র ও প্রশংসা পত্র কি এক কখনোই না প্রত্যয়ন পত্র এবং প্রশংসাপত্রের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে যেমন প্রশংসাপত্র হলো সাবেক শিক্ষার্থীদের পরিচয় প্রধান কারতি একটি পত্র এবং প্রত্যয়ন পত্র হল বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিচয় প্রদানকারী একটি পত্র এর মধ্যে দুটি পার্থক্য রয়েছে একটি হলো বর্তমান

একটি হলো সাবেক যেমন কোন প্রতিষ্ঠান সংগঠনের থাকাকালীন প্রতিষ্ঠান সংগঠনের প্রধান কর্তৃক বিস্তারিত বিবরণ দেওয়াকে প্রত্যয়নপত্র বলে এবং সংগঠনের থেকে গত প্রতিষ্ঠান সংগঠনের প্রধান কর্তৃক বিস্তারিত লিখিত প্রশংসা করাকে প্রশংসাপত্র বলে এর মধ্যে এই দুইটাই পার্থক্য।

মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র

মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম হল সর্বপ্রথম মাদ্রাসার নাম লিখে শুরু করতে হবে এরপরে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা নিজের নাম পিতার নাম মাতার নাম জন্মতারিখ গ্রাম থানা পোস্ট ভোটার আইডি এর সবগুলোই উল্লেখ করতে হবে এরপরে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত অধ্যায়নরত ছিলেন তা লিখবেন

এবং সর্বশেষ লিখবেন আমার জানা মতে ইনি কোন রাষ্ট্রসমাজ বিরোধী কোনো কার্যকলাপে জড়িত ছিল না এবং সর্বশেষে স্বাক্ষর এবং সিলমোহর দিয়ে আপনার উপরে উল্লেখিত এই তথ্যগুলো পেশ করার মাধ্যমে খুব সহজেই একটি প্রত্যয়ন পত্র তৈরি করতে পারবেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র লিখার জন্য সবচাইতে যেগুলো জানা দরকার তা হল সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বেশি বেশি জানা প্রয়োজন এবং প্রত্যয়ন পত্র লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেমন শিক্ষার্থীর নাম রোল নাম্বার জন্ম তারিখ করছেন নাম এবং শুরু ও শেষের তারিখ প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা ইত্যাদি সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে

একটি প্রত্যয়ন পত্র লিখতে এবং সর্বশেষ স্বাক্ষর ও শীল যে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্টুডেন্টররত আছেন সেই প্রতিষ্ঠানের স্বাক্ষর এবং শিলমোহর অবশ্যই থাকতে হবে এটাই মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম এই নিয়মে আপনি যেকোনো ধরনের পতন পত্র লিখতে পারবেন।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম চাকরির প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম আরো জেনেছি প্রত্যয়ন পত্র এবং প্রশংসা পত্র এর পার্থক্য এক কথায় বলা যায়, প্রত্যয়নপত্র সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য এ পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন তাই আমি

সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার জন্য উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকি তাই যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের পাশে থাকবেন এবং উৎসাহ জাগাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url